"আমার প্রাণের 'পরে চলে গেল কে" গানটি "কে" শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল ছবি ও গান-এ ১৮৮৪ সালে রানী চন্দের কাছে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি সম্পর্কে বলেন "নতুন বৌঠান মারা গেলেন, কী বেদনা বাজলো বুকে মনে আছে সে সময় আমি গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে পায়চারি করেছি আর আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বলেছি কোথায় তুমি, নতুন বৌঠান? একবার এসে দেখা দেও সেই সময় আমি এই গানটাই গাইতুম বেশি আমার বড় প্রিয় গান" আমার প্রাণের 'পরে চলে গেল কে বসন্তের বাতাসটুকুর মতো সে যে ছুঁয়ে গেল, নুয়ে গেল রে ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত সে চলে গেল, বলে গেল না সে কোথায় গেল ফিরে এল না সে যেতে যেতে চেয়ে গেল কী যেন গেয়ে গেল তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে সে ঢেউয়ের মতন ভেসে গেছে চাঁদের আলোর দেশে গেছে সে ঢেউয়ের মতন ভেসে গেছে চাঁদের আলোর দেশে গেছে যেখান দিয়ে হেসে গেছে হাসি তার রেখে গেছে রে মনে হলো আঁখির কোণে আমায় যেন ডেকে গেছে সে আমি কোথায় যাব, কোথায় যাব ভাবতেছি তাই একলা বসে সে চাঁদের চোখে বুলিয়ে গেল ঘুমের ঘোর সে প্রাণের কোথায় দুলিয়ে গেল ফুলের ডোর কুসুমবনের উপর দিয়ে কী কথা সে বলে গেল ফুলের গন্ধ পাগল হয়ে সঙ্গে তারি চলে গেল হৃদয় আমার আকুল হল, নয়ন আমার মুদে এলো রে কোথা দিয়ে কোথায় গেল সে আমার প্রাণের 'পরে চলে গেল কে