ঘন অন্ধকার রাত বাদলের হাওয়া এলোমেলো ঝাপট দিচ্ছে চারদিকে মেঘ ডাকছে গুরুগুরু, থরথর করছে দরজা খড়খড় করে উঠছে জানালাগুলো বাইরে চেয়ে দেখি সারবাঁধা সুপুরি-নারকেলের গাছ অস্থির হয়ে দিচ্ছে মাথা-ঝাঁকানি মনে পড়ছে ওই পদটা "রজনী শাঙন ঘন, ঘন দেয়া-গরজন স্বপন দেখিনু হেনকালে" মনে পড়ছে সেই দুপুরবেলাটি ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টিধারা ক্লান্ত হয়ে আসে আবার দমকা হাওয়া তাকে মাতিয়ে তোলে ঘরে অন্ধকার, কাজে মন যায় না যন্ত্রটা হাতে নিয়ে বর্ষার গানে মল্লারের সুর লাগালেম পাশের ঘর থেকে একবার সে কেবল দুয়ার পর্যন্ত এল আবার ফিরে গেল একবার আবার বাইরে এসে দাঁড়াল তার পরে ধীরে ধীরে ভিতরে এসে বসল হাতে তার সেলাইয়ের কাজ ছিল মাথা নিচু করে সেলাই করতে লাগল তার পরে সেলাই বন্ধ করে জানলার বাইরে ঝাপসা গাছগুলোর দিকে চেয়ে রইল ♪ বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল, এল আমার মনে কোন সে কবির ছন্দ বাজে ঝরো ঝরো বরিষনে বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল ♪ যে মিলনের মালাগুলি ধুলায় মিশে হল ধূলি যে মিলনের মালাগুলি ধুলায় মিশে হল ধূলি গন্ধ তারি ভেসে আসে আজি সজল সমীরণে ঝরো ঝরো বরিষনে বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল ♪ সে দিন এমনি মেঘের ঘটা রেবানদীর তীরে এমনি বারি ঝরেছিল শ্যামলশৈলশিরে সে দিন এমনি মেঘের ঘটা রেবানদীর তীরে এমনি বারি ঝরেছিল শ্যামলশৈলশিরে মালবিকা অনিমিখে চেয়ে ছিল পথের দিকে সেই চাহনি এল ভেসে কালো মেঘের ছায়ার সনে ঝরো ঝরো বরিষনে বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল, এল আমার মনে কোন সে কবির ছন্দ বাজে ঝরো ঝরো বরিষনে বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল