আমি তারেই খুঁজে বেড়াই যে রয় মনে, আমার মনে সে আছে বলে আমার আকাশ জুড়ে ফোটে তারা রাতে প্রাতে ফুল ফুটে রয় বনে আমার বনে সে আছে বলে চোখের তারার আলোয় এত রূপের খেলা রঙ্গের মেলা অসীম সাদায় কালোয় সে মোর সঙ্গে থাকে বলে আমার অঙ্গে অঙ্গে পুলক লাগায় দখিন সমীরণে তারি বাণী হঠাৎ উঠে পুরে আনমনা কোন টানের মাঝে আমার গানের সুরে দুখের দোলে হঠাৎ মোরে দোলায় কাজের মাঝে লুকিয়ে থেকে আমারে কাজ ভোলায় সে মোর চিরদিনের বলে তারি পুলকে মোর পলকগুলি ভরে ক্ষণে ক্ষণে আমি তারেই খুঁজে বেড়াই যে রয় মনে, আমার মনে এই অন্বেষণের দিশারি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ যার দৃষ্টির সুদূর প্রসারতা আলোকিত করেছে বাঙালির চেতনাশক্তিকে তিনি বাঙালি জাতির এমন একটি প্রত্যয়ভূমি যার পুণ্য তীর্থে স্নান করে নৈতিক অবক্ষয়ের গ্লানি ধুয়ে আসা যায় আজ উত্তর কালের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে অগনিত উত্তর সাধকের সমগ্র জিজ্ঞাসার কেন্দ্রীয় চরিত্র সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যার শিল্পের প্রতিটি আখর যুগের মাপকাঠিতে আজও শাশ্বত ও সমকালীন যে অন্বেষণের তাৎপর্য বিস্তৃত তার সুবিশাল সৃষ্টির ঐশ্বর্য সেখানে উত্তর সাধক অবগাহন করে তার শিল্প সুষমায় স্নাত হবেন এতে আর আশ্চর্যের কী কিন্তু আশ্চর্য এইখানেই যে একদিন তিনি যে বড়ো কবি হবেন বা তার গান রোমাঞ্চিত করবে বিশ্বহৃদয়কে যেন তার জানাই ছিল তাই ভাবী কালের হাতে বিন্দুমাত্র সংশয়ের অবকাশ না রেখে কোন কৈশোর কাল থেকে তার সৃষ্টির দিন-ক্ষণ, অবস্থানের হদিস যথাসাধ্য রচনার সঙ্গে রেখে গেছেন